নিজস্ব প্রতিবেদক –
মৃত পিতাকে গালাগালের প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের দায়ের কুপে আহত হয়েছেন সাইফুল ইসলাম নামে এক স্কুল শিক্ষক। শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে আহত করার পর প্রতিপক্ষের লোকেরা বাড়িঘরে তালা দিয়ে আত্মগোপনে চলে গেলেও ফের হামলা করতে পারেন এমন আশঙ্কায় স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি আছেন উক্ত শিক্ষক।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ৪ ডিসেম্বর রবিবার রাত সাড়ে নয়টায় উপজেলার চরউজিলাব ইউনিয়নের দেওয়ানেরচর মধ্য পাঁড়া গ্রামে।
আহত স্কুল শিক্ষক সাইফুল ইসলাম উক্ত গ্রামের মৃত নুরুল মুমেনের ছেলে ও বারৈচা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের সহকারী শিক্ষক। অপরপক্ষে হামলাকারীরা একই গ্রামের বাসিন্দা ও ভুক্তভোগী শিক্ষকের প্রতিবেশি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,শিক্ষক সাইফুল ইসলাম তার দেওয়ানেরচর গ্রামের বাড়িতে প্রতিদিন রাতেই কয়েকজন শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ান। গত ৪ ডিসেম্বর রবিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে শিক্ষার্থীদের পড়ানোর সময় প্রতিবেশি সিরাজ মিয়ার বাড়ির লোকজন উক্ত শিক্ষকের মৃত পিতাকে নিয়ে গালাগাল করলে তিনি গিয়ে প্রতিবাদ করেন।
এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে সিরাজ মিয়াসহ তার স্ত্রী শাহেদা দুই ছেলে সুমন ও মোস্তফা ধারালো অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে অর্তকিত শিক্ষক সাইফুলের উপর হামলে পড়ে। সিরাজ মিয়ার ছেলে সুমন এসময় দা দিয়ে শিক্ষকের পেটে কুপিয়ে আহত করে।
পরে গুরুতর আহতবস্থায় শিক্ষক সাইফুলকে প্রথমে বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেও অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে।
স্থানীয়রা জানান,শিক্ষক সাইফুলের সাথে প্রতিবেশি সিরাজ মিয়া ও তার ছেলেদের মধ্যে একটি রাস্তা নিয়ে দ্বন্ধ আছে। এ দ্বন্ধের কারনেই তাকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে বলে তাদের ধারনা।
ভুক্তভোগী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম জানান,তারা আমাকে অনেক মারধর করে। পেটে দা দিয়ে কুপিয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে বর্তমানে বাড়িতে আছি। কিন্তু হামলাকারীরা ভয়ংকর প্রকৃতির লোক। তারা আবার হামলা করতে
পারে। এই ভয়ে নিজের ঘরেই গৃহবন্দি আছি। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।
চরউজিলাব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ শফিকুল ইসলাম সম্রাট ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,এ ঘটনায় কয়েকটি দরবারও হয়েছে। কিন্তু হামলাকারীরা অত্যান্ত দৃষ্ট প্রকৃতির লোক। তারা কাউকেই মানেনা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়া বেলাব থানার এসআই নাইমুর ইসলাম বলেন,মৌখিক অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। অভিযুক্তরা বর্তমানে পলাতক রয়েছে। এখনো থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply